শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান অনিকের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক ছাত্রীকে হত্যার চেস্টা চালানো হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ওই শিক্ষার্থীকে রামদা ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মিরপুর সরকারি বাঙলা করেছেন ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শুভ্র মাহমুদকে ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান বেশ কিছু দিন আগে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু তার প্রস্তাবের রাজী না হওয়ায় ছাত্রলীগ পরিচয় ধারণকারী কতিপয় বখাটেকে ওই ছাত্রীর পেছনে লেলিয়ে দেন। একপর্যায়ে তারা ওই ছাত্রীকে ইফটিজিং শুরু করে। এরপর তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের কাছেও অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতেও ছাত্রলীগ নেতা মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর গত ১৫ দিন আগে মিজানুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থী মিরপুর মডেল থানায় জিডি করেন। আর ওই জিডি দায়েরের কথা এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার কথা শুনতে পেরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় শুভ্র মাহমুদকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকতা মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো.ওহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার বেলা ১২টা ৫ মিনিটের দিকে আহত ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এখন তিনি অসুস্থ থাকায় তার সাথে যোগযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি রাজধানীতেই বসবাস করেন। মামলায় মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান অনিককে প্রধান করে আরো অজ্ঞাতনামা কয়েজনকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের বিপরীত পাশে চক্ষু হাসপাতালের সামনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি অনিক ও তার দুই সহযোগিসহ কয়েকজনে ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চারায়। এসময় রামদা ও লাঠি দিয়ে তার পেছন থেকে হামলা চালানো হয়।এসময় তার হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, “হামলার সময় আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা অনিক আমার ওপর রাম দা দিয়ে হামলা চালায়।”
এ সময় অনিকের সহযোগী হামলাকারীরা তার গলা ও ঘাড়ে কোপ দেবার চেষ্টা করে, “তারা সরে যাওয়ায় সময় আমার ডান হাতে রামদার কোপ লাগে।” তিনি আরো বলেন, “আমি অনিকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তিনি দলবল নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে।”তবে অনিকের কী অন্যায়ের প্রতিবাদ তিনি করেছিলেন সে ব্যাপারে কিছু বলেননি।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান অনিকের সাথে যোগাযোগ করা তিনি হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে শীর্ষ নিউজকে বলেন, ওর মতো মেয়ের দিকে তাকানোর আমার কোন ইচ্ছা নেই। এখন যেভাবে মেয়েরা ইউজ হয়, তাকে দিয়ে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে আমার প্রতিপক্ষরা।
এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভুইয়া মাহবুব হাসান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আগে জিডিও হয়েছিল। আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে। বিষয়গুলো তদন্ত করা হচ্ছে।